ঢাবি সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন ২০২০ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণরা। আগামী সোমবার (১৮ এপ্রিল ) এই অনশন কর্মসূচি পালিত হবে।
ঢাবি সেকেন্ড টাইমের দাবিতে আন্দোলনরতদের অন্যতম সমন্বয়ক মো. রাফি হাসান বলেন, ঢাবিসহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দাবিতে আগামী সোমবার আমরা অনশন করব। এদিন বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এই অনশন কর্মসূচি শুরু হবে। সেকেন্ড টাইমের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা রাজু ভাস্কর্যে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা তাদের ভাড়া করা মাইকওয়ালাকে চলে যেতে বাধ্য করে। এরপর তারা উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন।তবে প্রক্টরিয়াল টিম এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা না করে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দেন।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর বদরুজ্জামান ভুঁইয়া কাঞ্চন এসে শিক্ষার্থীদের দুজন প্রতিনিধিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে নিয়ে যান। এ সময় বাকি শিক্ষার্থীরা কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নিয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।
মনিপুর কলেজের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন সরকার বলেন, ‘যারা প্রথমবার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ভালো বিষয় পায় না, তাদের মধ্যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মাথায় রেখে যুগোপযোগী বিষয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে চাওয়াটা স্বাভাবিক। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার মতো নম্বর কাটার বিধান রেখে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে।’
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী মো. সাইদ বলেন, ‘ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর থেকেই আমাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হচ্ছে। আমরা আত্মীয়স্বজন এমনকি নিজের পরিবারের সদস্যদের সামনে মুখ দেখাতে পারছি না। আমাদের মধ্যে কেউ মেধাক্রমে পিছিয়ে থাকার কারণে ভালো সাবজেক্ট পাইনি।‘আবার কেউ করোনার কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি। এ দেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও আপিলের জন্য সেকেন্ড চান্স পায়। তাহলে আমরা কেন ঢাবিতে আরেকবার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাব না?’
মাইজদী পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মুহিদুল ইসলাম দাওদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড দাবি করে, কিন্তু সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দিতে পারে না। আমরা কেউ এমন না যে পড়ালেখা করিনি। আমাদের সুযোগ দেয়া হোক। আমাদের বিশ্বাস, আমরা আবার পরীক্ষা দিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাব।’
ঢাবির বিজ্ঞপ্তি ও নির্দেশিকা দেখতে এখানে ক্লিক করুন
ঢাবি কর্তৃপক্ষ ভর্তির সার্কুলার প্রকাশ করেছে এরপরও কেন সেকেন্ড টাইমের দাবিতে অনশন করবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া আমাদের অধিকার। শিক্ষামন্ত্রী এবং ইউজিসি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষার সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তাদের আহবানে সাড়া দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেকেন্ড টাইম সুযোগ দিচ্ছে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও সেকেন্ড টাইম ভর্তির সুযোগ আছে। তাহলে ঢাবি কেন দেবে না। আমাদের দাবি আমরা আদায় করেই ছাড়ব।
প্রসঙ্গত, ঢাবি সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখলে অনেক মেধাবী ছাত্র ঢাবিতে পড়ার সুযোগ পাবেন না- এ ধারণা থেকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে। পরে ঢাবির এ সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা তখন আন্দোলন করেছিলেন। এছাড়া এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ২৬ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক আদালতে রিটও করেছিলেন।
দৈনিক শিক্ষা বার্তার সূত্র দিয়ে ফেসবুকের একাধিক গ্রুপে এমন পোস্ট করা হয়েছে। দৈনিক শিক্ষা বার্তার ওই নিউজের লিংকে প্রবেশ করে দেখা যায়, নিউজের শিরোনামে লেখা হয়েছে ‘ঢাবি সেকেন্ড টাইম ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত’। তবে নিউজের ভেতরে কোথাও এ ধরনের কথা উল্লেখ নেই। এছাড়া কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্যও নেই।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান শনিবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সেকেন্ড টাইম রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি। এ ধরনের খবর মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধও জানান তিনি।
এদিকে দৈনিক শিক্ষা বার্তার ফেসবুক পেজে গিয়ে দেখা যায় ‘ঢাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত’ শীর্ষক নিউজে ৬ হাজারের অধিক লাইক পড়েছে। নিউজটি শেয়ার হয়েছে ১১৫ বার। আর এতে কমেন্ট করেছেন ১৬৯ জন। কমেন্টগুলোর অধিকাংশই নেতিবাচক। আবার অনেকে এমন সংবাদ বিশ্বাসও করেছেন।
আর কে চৌধুরী নামে একজন লিখেছেন, ‘‘ভাল উদ্যোগ। নতুনভাবে কি দরখাস্ত আহ্বান করা হবে, না যারা অকৃতকার্য হয়েছে তাদের মধ্যে পরীক্ষা নেয়া হবে। নতুনভাবে দরখাস্ত আহ্বান করা যৌক্তিক দাবি।’’
শাহরিয়ার সুমন নামে একজন লিখেছেন, ‘‘যে টাইটেল দিছেন। ভেবেছিলাম সত্যিই সেকেন্ড টাইম দিয়ে দিছে ঢাবি। ফাইজলামি করেন, পোলাপানের ইমোশন নিয়ে খেলা করেন। বন্ধ করুন এসব ফালতু নিউজ, অন্যথায় টাইটেল চেঞ্জ করুন।’’
৮টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (Agricultural Bunch University) এর ভর্তি পরীক্ষায় বাড়ছে জিপিএ
কৃষি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় (Agricultural Bunch University) দেশেটি কৃষি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় এর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জিপিএ বাড়ছে। এ বছর...