দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা ২১০০ একরের আয়তনে ক্যাম্পাসটি যেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি! শহরের কোলাহল ও যান্ত্রিকতা থেকে ২৩ কিমি দূরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টি। যেখানে গর্ব নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে নয়নাভিরাম পাহাড়। যা ভ্রমনপিপাসুদের পিপাসা মেটায় !!
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাতন্ত্র্য তার কয়েকটি বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হলো:-
১. র্যাঙ্কিং: সর্বশেষ আগষ্টে করা জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশের এক নাম্বার স্থান দখল করা বিশ্ববিদ্যালয় ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়’ এবং বিশ্ব র্যাঙ্কিং এ ৩০৫০ তম। তাছাড়া সকল জরিপে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এক থেকে পাঁচের মধ্যেই থাকে।
২. আয়তন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহত্তম ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। আয়তন ২১০০ একর। অন্যান্য ক্যাম্পাস আয়তনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের আশেপাশেও নেই।
৩. সমৃদ্ধ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী: লাইব্রেরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ বলা হয়ে থাকে। আর দেশের সমৃদ্ধ লাইব্রেরীগুলার মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী। দেশি-বিদেশী মিলে প্রায় সাড়ে তিন লাখ বই, ম্যাগাজিন আছে। যা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক বেশি বই এই লাইব্রেরীতে সংরক্ষিত।
৪. শাটল ট্রেন: পৃথিবীর একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে শিক্ষার্থীরা যাতায়েত করে শাটল ট্রেনে। এই শাটল ট্রেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান আকর্ষ । যেখানে শিক্ষার্থীদের প্রাণের মেলবন্ধন ঘটে থাকে। এই শাটল ট্রেনের দেয়াল পিটিয়েই পার্থ বড়ুয়া, এস আই টুটুল সহ জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পীরা বেরিয়ে এসেছেন। সম্প্রতি এই শাটল ট্রেনকে নিয়ে নির্মিত হচ্ছে চলচিত্র।
৫. ঐতিহ্যের স্মারক জাদুঘর: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে গর্ব করার মত সমৃদ্ধ যাদুঘর। যেখানে রয়েছে বৌদ্ধদের নানা মূর্তি! সাথে আছে ইতিহাসের পাতা, পোড়া মাটির ফলিস, কষ্টিপাথর, হাতের লেখা পবিত্র কোরআন শরিফ, হাতির দাত দিয়ে বানানো অলংকার সহ নানান কিছুই!!
৬. কাটা পাহাড়: ক্যাম্পাসের ‘ইন্দো বার্মা হটস্পট’ !! ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলেই দেখা যাবে দাঁড়িয়ে আছে দু’টি পাহাড় আর মাঝখান বরাবর চলে গেসে কালো পিচের রাস্তা। এই কাটা পাহাড় হচ্ছে ক্যাম্পাসের অন্যতম আকর্ষণ। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখাও হতে পারে ‘মায়া হরিণ’। কারণ কাটা পাহাড়ে নানা জীবজন্তুর বসবাস।
আবাসিক হলঃ-
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে 14টি আবাসিক হল রয়েছে, যার মধ্যে 9টি (১টি নির্মাণাধীন) ছাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য এবং 5টি (1টি নির্মাণাধীন) মহিলা শিক্ষার্থীদের জন্য[২]
ছাত্রদের জন্য আবাসিক হল:-
নাম | প্রতিষ্ঠিত | সিট সংখ্যা |
---|---|---|
আলাওল হল | ২৬০ | |
অতীশ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান হল | নির্মানাধীন | N/A |
|
২৫৮ | |
শাহজালাল হল | ১৯৭৪ | ৪৭৫ |
সোহরাওয়ার্দী হল | ১৯৭৪ | ৩৭৫ |
শাহ আমানত হল | ৬৩২ | |
শহীদ আবদুর রব হল | ৫০৯ | |
মাস্টারদা সূর্য সেন হল | ১৩ জুন ২০১০ | ২০৪ |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল | নির্মানাধীন | অজানা |
ছাত্রীদের জন্য আবাসিক হল:-
নাম | প্রতিষ্ঠিত | সিট সংখ্যা |
---|---|---|
শামসুন নাহার হল | ৬৭৬ | |
প্রীতিলতা হল | ৫৩১ | |
|
৫০০ | |
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল | নির্মানাধীন | N/A |
জননেত্রী শেখ হাসিনা হল | অক্টোবর, ২০১৫ | ৫০০ |
হোস্টেল:-
নাম | নির্মানাধীন | সিট সংখ্যা |
---|---|---|
শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেল | ||
গোবিন্দ গুণালঙ্কার হোস্টেল | ১৯৯৬ |
Comments 1